Wellcome to National Portal

প্রানবন্ত সবকিছুই পানি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আল-কুরআন (২১ঃ৩০)

মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

আমাদের অর্জনসমূহ

সাম্প্রতিক অর্জনসমূহ

হাওরে ডুবন্ত বাঁধ মেরামত/পুনরাকৃতিকরণঃ 

২০১৯-২০ অর্থ বছরে অনুন্নয়ন রাজস্ব বাজেটের আওতায় সিলেট পওর সার্কেল, বাপাউবো, সিলেট-এর অধীন ২ (দুই) জেলার মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলায় বাপাউবোর্ডের ব্যবস্থাপনাভুক্ত মোট ৩৭ টি হাওরসহ অন্যান্য হাওর উপ-প্রকল্পসমূহরে ডুবন্ত বাঁধ পুনরাকৃতকিরণ/ পুনঃনর্মিান/ ব্রীচ ক্লোজিং/ বিকল্প বাঁধ নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদশে সরকাররে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত সংশোধিত কাবিটা নীতিমালা-২০১৭ এর আলোকে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করে প্রায় ৬২৮.৫২৯ কি.মি. ডুবন্ত বাঁধ মেরামত কাজ বাস্তবায়িত হয়েছে। তন্মধ্যে সুনামগঞ্জ পওর বিভাগ-১ এর আওতায় ৩৩৭.৮৪১ কি.মি. এবং সুনামগঞ্জ পওর বিভাগ-২ এর আওতায় ২৯০.৬৮৮ কি.মি. কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সুনামগঞ্জ জেলায় হাওররে ডুবন্ত বাঁধের ১৩৫ টি স্থানে (৭.৮২০ কি.মি. দৈর্ঘ‌্যে) ভাঙ্গন বন্ধকরণ (Breach closing)/ Closure) নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এছাড়াও সিলেট জেলায় ৫.০০ কি.মি. ডুবন্ত বাঁধ পুনরাকৃতিকরণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, সুনামগঞ্জে ৪৮টি হাওরে প্রায় ৫৩২.৩৯৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে বাঁধ মেরামত ও ক্লোজার নির্মাণ কাজের জন্যে ২০২১-২২ অর্থ বছরে ১১ টি উপজেলা জুড়ে ৭২৪ টি পিআইসি (প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি) -এর মাধ্যমে কাজ বাস্তবায়নের কর্মসূচি ও কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। ১০শে মার্চ, ২০২২ খ্রি. তারিখের মধ্যে সবগুলো পিআইসির মাটির কাজ শতভাগ সমাপ্ত করা সম্ভব হয়েছে এবং এর মধ্যে ১৩০ টি ক্লোজার নির্মাণের কাজের মাটির কাজও শতভাগ সমাপ্ত করা হয়েছে।

হাওরের ফসল রক্ষাঃ

সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রকৃত সুবিধাভোগীদের অন্তর্ভুক্ত করে প্রতি বছর পিআইসি’র মাধ্যমে হাওরে স্কীমভিত্তিক ডুবন্ত বাঁধ মেরামত ও পুনরাকৃতিকরণ কাজ বাস্তবায়নের ফলে একদিকে আগাম বন্যা হতে হাওরের একমাত্র বোরো ফসল রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে এবং অন্যদিকে বার্ষিক উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। হাওরের কৃষকেরা নির্বিঘ্নে বোরো ফসল ঘরে তুলতে পারছেন এবং জীবনমানের ব্যাপক উৎকর্ষ সাধিত হয়েছে।

নদীতীর সংরক্ষণ ও নদী খনন কাজঃ

নদ-নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি, তীরবর্তী জনপদে বন্যার প্রকোপ হ্রাস এবং নদীতে জাগ্রত ডুবোচর অপসারণের মাধ্যমে নদীতীরে ভাঙ্গন ঝুঁকি হ্রাসকল্পে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড আক্রান্ত স্থানসমূহে নদীতীর সংরক্ষণ ও নদী খনন/পুনঃখনন কাজ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯-২০ অর্থ বছরে সিলেট পওর সার্কেলাধীন সুনামগঞ্জ পওর বিভাগ-১ এর আওতায় ০.২৪৮ কি.মি., সুনামগঞ্জ পওর বিভাগ-২ এর আওতায় ০.৫০০ কি.মি. এবং সিলেট পওর বিভাগ এর আওতায় ০.৩৬০ কি.মি. নদী তীর সংরক্ষণ কাজ সম্পন্ন করা হয়। ড্রেজারেরে মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেলায় ১.০০ কি.মি. (আংশিক) নদী পুনঃখনন কাজ এবং এক্সকাভেটরের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ পওর বিভাগ-১ এর আওতায় ৪.০০ কিঃ মিঃ নদী পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়ন করা হয়। এছাড়াও সুনামগঞ্জ জেলায় ৩৩.৫০ কিঃ মিঃ খাল পুনঃখনন কাজ সম্পন্ন করা হয়।

২০২১-২২ অর্থ বছরের ২য় কোয়ার্টার পর্যন্ত সিলেট জেলায় এক্সকাভেটরের মাধ্যমে ২৮.৫০ কি.মি. নদী পুঃখনন ও ০.১৫০ কি.মি. নদী তীর সংরক্ষণ কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সুনামগঞ্জ জেলায় ৩.৩৪৫ কি.মি. নদী খনন/পুনঃ খনন ও ৩.০০ কি.মি. (আংশিক) খনন কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

এ ছাড়াও

  • রাজস্ব বাজটের সাধারন মেরামত মঞ্জুরীখাতে প্রাপ্ত বরাদ্দের আওতায় সমাপ্তকৃত প্রকল্পের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ও অন্যান্য অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতির মেরামত কাজ সম্পন্ন করে প্রকল্প এলাকাসমূহের বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থা মজবুতকরণসহ সেচ কার্যক্রম সচল রাখা হয়েছে।
  • নদী ড্রেজিং ও খাল সমূহ খননের মাধ্যমে নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে হাওরের ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে সাথে হাওরের মৎস্য সম্পদ উৎপাদন ও স্থানীয় নৌ-যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।
  •  নির্মিত কর্ম্পাটমন্টোল ডাইক একদিকে যেমন হাওরকে পৃথক কর্ম্পাটমেন্টে বিভক্ত করে নিষ্কাশন ও সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে অপরদিকে ফসল কাটার পর তা গন্তব্যে পৌছাঁনোর ক্ষেত্রে রাস্তা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে স্থানীয়ভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধনে সহায়ক হয়েছে। কৃষক র্কতৃক হাওরে কৃষি উপকরণ সরবরাহরে ক্ষেত্রেও উক্ত কর্ম্পাটমন্টোল ডাইক যোগাযোগরে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। নদী ড্রেজিং কাজ বাস্তবায়নের ফলে সুনামগঞ্জ জেলায় নাব্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে ফলে আগাম বন্যার ঝুঁকি হ্রাস পেয়েছে।
  • “৬৪ টি জেলার অভ্যন্তরস্থ ছোট নদী, খাল এবং জলাশয় পুনঃখনন প্রকল্প ( ১ম পর্যায় )” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় অত্র সার্কেলাধীন ২ টি জেলায় নদী/খাল পুনঃ খনন কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন শেষ হলে নদী/খাল সমূহের নাব্যতা বৃদ্ধি পাবে, ফলে বন্যার ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে হ্রাস পাবে; শুষ্ক মৌসুমে পানি সংরক্ষণের ফলে কৃষি ও সেচ কাজের সুবধিা সৃষ্টি হবে।
  • বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধের ঢাল, খালের পাড় এবং বাপাউবো’র নিজস্ব জায়গায় বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ ও বনজ বৃক্ষ রোপন করে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, নির্মিত অবকাঠামোসমূহের স্থায়িত্ব, মানুষ ও পশু-পাখির ফলজ ও বনজ চাহিদা পূরণ এবং বনায়ন ও সবুজায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।